নেত্রকোনার মদনে স্ত্রীর দেওয়া আগুনে স্বামী এখলাছ উদ্দিন (৪৫) মারা গেছেন। রবিবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা মেডিকল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে মারা যান তিনি। এর আগে গত সোমবার উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের সুতিয়ারপাড় গ্রামে এখলাছের শ্বশুড়ালয়ে এমন ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলা নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পাছহার গ্রামের আমজাদ হোসনের ছেলে এখলাছ উদ্দিন ৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের সুতিয়ারপাড় গ্রামের খাইরুল ইসলামের মেয়ে মুক্তা আক্তারকে। বিয়ের কিছুদিন পরই তিনি মালয়েশিয়া চলে যান। সেখান থেকে আবার সৌদিআরব যান। বিদেশে থাকা অবস্থায় তার রোজগারের টাকা স্ত্রীকেই পাঠাতেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে স্ত্রীর কাছে টাকা পয়সার হিসেব চাইলে পারিবারিক কলহের সষ্টি হয়।
গত ১১ নভেম্বর রবিাবর রাতে স্ত্রী মুক্তা আক্তার ফোন করে শ্বশুরবাড়িতে ডাকেন স্বামী এখলাছকে। রাতে খাবার খেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরে মধ্যরাত ঘুমন্ত অবস্থায় তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্ত্রী।
এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে এখলাছকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার এখলাছের চাচাতো ভাই কসিম উদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে এখলাছের স্ত্রী মুক্তা আক্তার, শ্বশুড় ও শ্বাশুড়ীকে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, অগিদগ্ধ এখলাছ উদ্দিন রবিবার ভোরে মারা গেছেন। এ ঘটনায় পূর্বে দায়ের করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। আসামি গ্রেপ্তারের চষ্টা চলছে।