নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুল ছাত্রী মুক্তি রাণী বর্মন হত্যাকান্ডের মূল আসামী কাওসারকে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ।
বুধবার (৩ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের একটি বিশাল জঙ্গল থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামী কাওসার ওই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে। নিহত মুক্তি রাণী বর্মন প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল বর্মনের মেয়ে। সে ছালিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো: হারুন-অর-রশিদ বুধবার বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ সুপার সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসময় তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুৃরে উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামে স্কুল থেকে বাড়ী পথে মুক্তি রাণী বর্মনকে মাথায় ও ঘাড়ে কুপিয়ে আহত করে কাওসার। পরে মুমুর্ষ অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। এরপর থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ওই এলাকার একটি জঙ্গল থেকে জেলা ডিবি পুলিশের একটি টিম আসামী কাওসারকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘদিন যাবত মুক্তি রাণী বর্মনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল কাওসার। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে কুপিয়ে খুন করেছে বলে আসামী স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোকন কুমার সাহা বলেন, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে নিহতের পিতা নিখিল বর্মন বাদী হয়ে আসামী কাওসারের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।