সাবেক অধ্যক্ষকে হত্যার ঘটনায় আটক এক
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় পাটগ্রাম মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. এম ওয়াজেদ আলী (৬৫) হত্যা মামলায় আলমগীর হোসেন আবদুল্লা নামে একজনকে আটক করেছে পাটগ্রাম থানা পুলিশ।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে পাটগ্রাম উপজেলার সাহেবডাংগা এলাকা থেকে আলমগীর হোসেন আবদুল্লাকে আটক করে পাটগ্রাম থানা পুলিশ।
আটককৃত আব্দুল্লা উপজেলার রসুলগঞ্জ নিউ পূর্বপাড়া এলাকার মৃত আবদুল মতিনের ছেলে।
পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে দু্র্বৃত্তরা ওয়াজেদ আলীকে গলাকেটে হত্যা করে। শনিবার (২১ জারুয়ারি) মধ্যরাতে নিহতের ছেলে রিফাত হাসান বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাকে আটক করা হয়েছে। আলমগীর মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি নাহিদুজ্জামান বাবুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শুক্রবার আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে ওয়াজেদ আলী (৬৫) পাটগ্রাম রসূলগঞ্জ (পোস্ট অফিস পাড়া) সরকারি হুজুর উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সংলগ্ন তার নিজ বাড়িতে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করেন। কিছু সময় পর আবার বাসা থেকে বেড় হওয়ার সময় পুর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন। এসময় চিৎকার ও চেঁচামেচিতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয় লোকজন আহত ওয়াজেদ আলীকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থার কিছুক্ষন পরেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. এম ওয়াজেদ আলী লালমনিরহাট – ১ সংসদীয় আসনের সাবেক এমপি আবেদ আলীর ছোট ভাই এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুলের মামা। স্থানীয়রা জানান তিনি খুবই বিনয়ী, সদালাপী ও সাদা মনের মানুষ ছিলেন। তাঁর মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না। অপর দিকে অধ্যক্ষের মৃত্যুর পর বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আসামীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ বেগুনের বাম্পার ফলন, দামে খুশি চাষীরা
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ