গার্ডার পড়ে নিহত রুবেলের মরদেহ নিয়ে টানাটানি সাত স্ত্রী’র
রাজধানীর উত্তরার জসীম উদ্দিনে উড়াল সড়কের বক্সগার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারের নিহত ব্যক্তি রুবেল হাসান (৬০) এর মরদেহ নিয়ে টানাটানি সাত স্ত্রী’র।
তিনি সাতটি বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে। মর্গের সামনে এসে রুবেলের মরদেহ দাবি করছেন স্ত্রীরা। এখানে আসা স্ত্রী’র কয়েকজনের সঙ্গে রুবেল হাসানের সন্তানও আছে বলে দাবি উঠেছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নিহত রুবেলের মরদেহ দাবি করা স্ত্রীরা একজন আরেকজনের বিয়ের ব্যাপারে কিছু জানেন না। তাদের মধ্যে এটি কেউ মানতে পারতেও পারছেনা বলে দাবী করেন।
হাসপাতালে আসা রুবেলের স্ত্রী দাবি করা নারীরা হলেন, নারগিস বেগম, রেহেনা বেগম, শাহিদা বেগম, সালমা আক্তার পুতুল ও তাসলিমা আক্তার লতা। এই পাঁচজন মর্গের সামনে এসে মরদেহ দাবি করছেন। আরেকজনের নাম টিপু। তিনি মারা গেছেন। রুবেলের সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। এছাড়া বাকি একজনের নাম জানা যায়নি।
শাহিদার বাড়ি মানিকগঞ্জে। লতা গাজীপুরের। পুতুল মিরপুর ১০-এর। আর নারগিস ঢাকার দোহারের। শাহিদার দাবি তার সন্তান আছে। সেই সন্তানের নাম সানজিদা আক্তার রত্না। সে বলছে, বাবার সম্পদের জন্য অনেকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করছেন। এতগুলো স্ত্রী আমরা আগে জানতাম না। আজকে এসে জেনেছি।
তাসলিমা আক্তার লতা দাবি করেন, রুবেল হাসানের সঙ্গে দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছে তার। নারগিসের সন্তান নিপা বলছে, বাবার ছয় বিয়ে জানতাম। বাবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কম। মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে। সে এখন বিষ্মিত বাবার আরও বিয়ের কথা শুনে।
নিপা আরও বলছে, যেহেতু অনেকেই দাবিদার, এ জন্য আমার দাদার এলাকায় নিতে চাই বাবার মরদেহ। সেখানেই দাফন করা হোক। নারগিস জানান, তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। বছর দুয়েক আগে দেশে ফেরেন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ক্রেন দিয়ে একটি গার্ডার উপরে তোলার সময় নিচে পড়ে যায়। এতে চলমান একটি প্রাইভেটকার সঙ্গে সঙ্গে দুমড়ে-মুচড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যায়। গাড়িটিতে মোট সাতজন ছিলেন। পাঁচজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান হৃদয় ও রিয়া দম্পতি।
নিহতরা হলেন, হৃদয়ের বাবা রুবেল, হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা খাতুন (৪০), ফাহিমার বোন ঝরণা আক্তার (২৮) এবং ঝরণার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। (সমকাল)
আরো পড়ুনঃ ঘুমের বড়ি খাইয়ে নিজের মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ : জুতার মালা পরিয়ে থানায় হস্তান্তর